৬৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পণ্য ও সেবা খাতে

৬৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পণ্য ও সেবা খাতে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য সেবা রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ দশমিক বিলিয়ন ডলার বা হাজার ৩৫০ কোটি ডলার গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মোট রপ্তানি আয়ের চেয়ে যা ১৬ দশমিক শতাংশ বেশি গত অর্থবছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৫ বিলিয়ন ডলার 

অবশ্য গত অর্থবছরে পণ্য এবং সেবা কোনো খাতেই রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে দশমিক ৪৩ শতাংশ। রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে সেবা রপ্তানি থেকে আয় আসে দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল দশমিক বিলিয়ন ডলার 

গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান চলতি অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন 

বাণিজ্য সচিব বলেন, রপ্তানির এই নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা সম্মতির ভিত্তিতে। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের শুরুতেই আন্দোলন-সরকার বদলের ধাক্কায় অর্থনীতিতে স্থবিরতা চললেও তখন রপ্তানি আয় ১২ দশমিক শতাংশের বেশি বাড়বে বলে আশা করেছিল সরকার। শেষ পর্যন্ত সামগ্রিক রপ্তানি আয় দাঁড়ায় প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলারে

চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে সচিব বলেন, পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ বিলিয়ন ডলার। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সেবা খাতে রপ্তানির পরিমাণ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করছে সরকার.

খাতভিত্তিক পরিকল্পনায় দেখা যায়, তৈরি পোশাকের ওভেন খাতে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২০ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার এবং নিট খাতে ১২ দশমিক শূন্য শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২৩ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। চামড়া চামড়াজাত পণ্যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি  ডলার, যা গত অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। পাট পাট পণ্যে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৭৩ শতাংশ ধরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৯০ কোটি ডলার। 

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক অর্জনের ফলে এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জন করা সম্ভব। তবে এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গ্যাস সংকটের চ্যালেঞ্জটা আগে থেকেই ছিল। ছাড়া কাস্টমসকেন্দ্রিক বিভিন্ন সমস্যা, ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন সমস্যা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি রয়েছে

তৈরি পোশাক উৎপাদন রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক . মো. হাসিব উদ্দিন বলেন, জ্বালানি, ব্যাংকিং কাস্টমস সমস্যার সমাধান হলে লক্ষ্যমাত্রার বেশি রপ্তানি সম্ভব

লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে রপ্তানিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতের প্রধানদের সঙ্গে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কী কী বাধা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রত্যেক খাতের এক বা দুটি বাধা চিহ্নিত করে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেক কনজারভেটিভলিই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, রপ্তানি আরও বেশি হবে। অপ্রচলিত পণ্যের বাজার তৈরি করা এবং নতুন বাজারে রপ্তানি করার ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ রয়েছে।