অস্ট্রেলিয়ায় বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

বিশ্ব ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ায় নিউ সাউথ (এনএসডব্লিউ) ওয়েলসে বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ এখনো বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমে এলেও এখনো ২০টির বেশি জরুরি সতর্কতা কার্যকর রয়েছে। এখন মূলত বন্যাক্রান্ত এলাকায় সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
এনএসডব্লিউ রাজ্যের জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ (এসইএস) জানিয়েছে, মধ্য ও উত্তর অংশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
এসইএসের প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট পল ম্যাককুইন বলেন, আমরা ভূমি, পানি ও আকাশপথে সেই বিচ্ছিন্ন বাসিন্দাদের কাছে পুনরায় ত্রাণ পৌঁছে দেবো, এটি আমাদের বহুমাত্রিক সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ। তিনি আরও অনুরোধ করে বলেন, দয়া করে ধৈর্য ধরুন, নিরাপদ স্থানে থাকুন এবং বন্যার পানিতে গাড়ি চালানো বা কৌতূহলবশত ঘুরে দেখার চেষ্টা করবেন না। বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। সবশেষ একজন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফরের পরিকল্পনা করলেও বিপজ্জনক সড়ক পরিস্থিতির কারণে তা বাতিল করতে বাধ্য হন। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বলেন, পরিস্থিতি এখনো সংকটাপন্ন। বন্যা ও সরিয়ে নেওয়ার সতর্কতা এখনও জারি আছে। আমরা ফেডারেল, রাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছি।
গত তিন দিনে ছয় শতাধিক বন্যা উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। এনএসডব্লিউ প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস জরুরি সেবা কর্মীদের প্রশংসা করে বলেন, গত ৭২ ঘণ্টায় জরুরি বাহিনীর সাহসিকতা ও তৎপরতা না থাকলে শত শত প্রাণহানি হতো।
এসইএস-এর উপকমিশনার ড্যানিয়েল অস্টিন বলেন, সপ্তাহের শেষ দিকে সতর্কতার সংখ্যা কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে তিনি সবাইকে বন্যার পানিতে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন।
সূত্র: এএফপি