সেদিন কেন বরখাস্ত করা হয়েছিলো ডা. জুবাইদা রহমানকে

May 6, 2025 - 22:08
 0  3
সেদিন কেন বরখাস্ত করা হয়েছিলো ডা. জুবাইদা রহমানকে

BINA
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে কাতারের রাজপরিবারের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানও দেশে ফিরেছেন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি তার স্বামী তারেক রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন। দেশে ফিরে তিনি তার বাবার ধানমন্ডির বাসভবনে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

জুবাইদা রহমানকে স্বাগত জানানোর জন্য ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের মাহবুব ভবন বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ভবনটি সাজানো হয়েছে এবং তার নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাফরুল থানায় মামলা করে। মামলার বিচারে জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। তবে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে তার সাজা স্থগিত করা হয়।

জুবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন এবং পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তবে ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটিতে বিদেশে যাওয়ার পর ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে না আসায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া জুবাইদা রহমান প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলীর কন্যা। মাহবুব আলী ছিলেন বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এবং পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের সময় যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী ছিলেন তার চাচা।

১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তারেক রহমানের বিয়ে হয়। ২০০৮ সালে স্বামীর চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

এদিকে, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। তিনি ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন, যেখানে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসভবনে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow