টেকসই রপ্তানি প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন লজিস্টিকস খাতের উন্নয়ন

অবকাঠামোগত দুর্বলতা, পরিবহন ব্যবস্থার সমন্বয়ের অভাব, গুদাম ও আধুনিক প্রযুক্তির ঘাটতি, জ্বালানি সংকট এবং প্রশাসনিক জটিলতা রপ্তানির খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টেকসই করতে এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে বন্দর ও লজিস্টিকস খাতে অবিলম্বে সংস্কার ও উন্নয়ন জরুরি।
রোববার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় এমন মত দেন বক্তারা। আলোচনার বিষয় ছিল ‘লজিস্টিকস খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’। সভাপতিত্ব করেন দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মসরুর রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশ লজিস্টিকস খাতে অনেক পিছিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক ও এলডিসি উত্তরণের চাপ মোকাবিলা করতে হলে এ খাতে দক্ষতা বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই।
মূল প্রবন্ধে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মামুন হাবিব বলেন, লজিস্টিকস খাতের উন্নয়নে অটোমেশন, নৈতিক চর্চা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে হবে। কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান চলাচল ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় ছাড়া স্মার্ট ও টেকসই লজিস্টিকস ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানির লক্ষ্য পূরণ করতে হলে দ্রুত বে টার্মিনাল চালু করা, মোংলা ও পায়রা বন্দর পুরোপুরি ব্যবহার করা এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের সংকট সমাধান করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নও জরুরি।
বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার খালাসে পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লাগে। এ কারণে প্রায়ই বিমানপথে পণ্য পাঠাতে হয়। এতে সমুদ্রপথের তুলনায় চার গুণ বেশি খরচ হয়।
বিজিএপিএমইএ সভাপতি এমডি শাহরিয়ার অভিযোগ করেন, রাজধানীতে প্রতিটি ট্রাককে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় এবং বন্দরের বিলম্বের কারণে ট্রাকগুলোকে অতিরিক্ত তিন থেকে চার দিন অপেক্ষা করতে হয়।
বারভিডা সভাপতি আব্দুল হক বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামো খরচ বৈশ্বিক মানদণ্ডের তুলনায় অনেক বেশি।