নেইমারের ভুলের কারণে চাকুরিচ্যুত কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক
ব্রাজিলিয়ান সিরি আ'য় গতকাল (১৭ আগস্ট) রাতে মুখোমুখি হয়েছিল পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থাকা সান্তোস ও ভাস্কো দা গামা। ম্যাচটা সান্তোস হেরে গেছে ৬-০ গোলে। নেইমারের এক সময়ের জাতীয় দলের সতীর্থ কৌতিনিয়ো জোড়া গোল করে দা গামার জয়ে বড় অবদান রেখেছেন। ম্যাচে নেইমার মোটামুটি ভালো খেলেও দলের বড় হার ঠেকাতে পারেননি।
জাতীয় দল বা ক্লাব পর্যায়ে এটিই নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় পরাজয়। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে ব্রাজিল হেরে গেলেও ইনজুরির কারণে সেই ম্যাচে দলে ছিলেন না নেইমার। সান্তোসের এমন লজ্জাজনক হার মেনে নিতে পারেননি নেইমার। মাঠ ছাড়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে।
এই ম্যাচের আগে ভাস্কো দা গামা রেলিগেশন জোনে অবস্থান করছিল। সান্তোসকে হারিয়ে ১৮ ম্যাচ শেষে ৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে আছে। রেলিগেশনে থাকা ভিতোরিয়ার পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। আর নেইমারের দল এক ম্যাচ বেশি খেলে রেলিগেশন জোনের থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট ওপরে অবস্থান করছে।
নেইমারদের এমন লজ্জাজনক হারের পরপরই চাকরি হারিয়েছেন কোচ ক্লেবার জেভিয়ের। দা গামার কাছে ৬-০ গোলে হারের ঘণ্টা না পেরোতেই এই কোচকে বরখাস্ত করেছে সান্তোস। এই ৬১ বছর বয়সী গত এপ্রিলে সান্তোসের প্রধান কোচ হন। এর আগে তিনি পালমেইরাস ও ফ্লামেঙ্গোর মতো ক্লাবের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গত নভেম্বরে সিরি আ'য় প্রমোশন পাওয়া সান্তোস কোচ জেভিয়েরের বিদায়ে নতুন করে বিপদে পড়ল। এক মৌসুম আগে ক্লাবটি তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরি আ' থেকে অবনমিত হয়ে গিয়েছিল।
গত জানুয়ারিতে আল হিলাল থেকে সান্তোসে ফেরা নেইমার দলের এমন লজ্জাজনক হারে ভীষণ লজ্জিত। দা গামার কাছে পরাজয়ের পর দলের পারফরম্যান্সের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমকে এই ৩৩ বছর বয়সী বলেন, 'আমরা মাঠে যে মানসিকতা নিয়ে খেলেছি, সেটা ব্যাখ্যা করতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে, এটা ভয়ঙ্কর ছিল।'