তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে ৮ গোলে জয় বাংলাদেশের নারীদের

তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে ৮ গোলে জয় বাংলাদেশের নারীদের

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮-০ গোলে পূর্ব তিমুরকে উড়িয়ে দিয়েছে বাঘিনীরা। 
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। 

গোল করার প্রতিযোগিতার দিনে হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা। এ ছাড়া সাগরিকা, নবিরুন, শিখা, শান্তি ও মুনকি একটি করে গোল করেন। 

বাংলাদেশ চারটি করে গোল করে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে তৃষ্ণা প্রথম গোল করেন। ৫৩ মিনিটে তিনি দলের পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এ ফরোয়ার্ড। তৃষ্ণার তৃতীয় গোলে অবদান মোসাম্মৎ সাগরিকার। তিনি ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালের উদ্দেশে ঠেলে দেন। ফাঁকা পোস্টে প্লেসিংয়ে দুর্দান্ত গোল করেন তৃষ্ণা।

এর আগে ৭২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় দারুণ গোল করেন সাগরিকা। মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। গত পরশু লাওসের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়েও বাংলাদেশ গোল পায়। মুনকি আক্তারের গোলের সঙ্গে সঙ্গে রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান।

ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গোল করেছেন শান্তি মারডি। ৩২ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। ডান প্রান্ত থেকে তার নেওয়া কর্নার কিক সরাসরি জালে জড়ায়। কর্নার থেকে কোনো ফুটবলারের স্পর্শ ছাড়াই সরাসরি বল জালে জড়ালে সেটা ‘অলিম্পিক গোল’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়। শান্তির গোলটি অনেকটা সেই রকমই ছিল।

তার নেওয়া কর্নার কিকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও সতীর্থ ফরোয়ার্ড বক্সে লাফিয়ে উঠলেও কেউই স্পর্শ করতে পারেননি। গোলরক্ষকও বলের ফ্লাইট মিস করেন। বল সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সাইড পোস্টের ভেতর দিয়ে জালে প্রবেশ করে। সাফ অ-২০ টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় এসেছিলেন শান্তি মারডি। এএফসি'র আসরেও আলো ছড়াচ্ছেন এই ফুটবলার।

তিন মিনিট পর একই প্রান্তে বাংলাদেশ আবার কর্ণার পেয়ে আরেকটি গোল করে। এবার গোলের যোগানদাতা শান্তি। তার নেয়া কর্ণারে বক্সের মধ্যে নবিরুন খাতুন হেড করে গোল করেন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চারটি গোলের তিনটিই কর্ণার থেকে। ২০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে স্বপ্না রাণীর কর্ণারে শিখা হেডে বল জালে জড়ান।

উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে লাওসকে পরাজিত করে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।