হামজা-শামিতের ম্যাচ রাঙিয়ে তোলার পরিকল্পনা বাফুফের

স্পোর্টস সংবাদদাতা। বিনা
৫৫ মাস পর ফুটবল ফিরছে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দেশের প্রধান এই ক্রীড়াভেন্যুতে বাংলাদেশ খেলবে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। তার আগে ৫ জুন এই মাঠে হওয়ার কথা আছে একটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ভুটান।
তবে বাফুফের সব ব্যস্ততা ১০ জুনের ম্যাচ ঘিরে। বেশ কয়েকটি কারণে এই ম্যাচটি নিয়ে বাড়তি উম্মাদনা তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর এই মাঠে পা পড়বে ফুটবলারদের। এমন একটি ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর এই স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরছে, যে ম্যাচে ঘরের মাঠে অভিষেক হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর। একই সাথে অভিষেক হবে কানাডা প্রবাসী ফুটবলার শামিত সোমের।
৩১ মে শুরু হওয়ার কথা জাতীয় দলের ক্যাম্প। হামজাকে প্রথম দিন থেকেই পাওয়া যেতে পারে ক্যাম্পে। গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ঢাকায় মাত্র একদিন অনুশীলন করতে পেরেছিলেন হামজা। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে তার ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলা শেষ করে এবার নির্ধারিত সময়েই ফিরবেন হামজা। শামিত সোম ঢাকায় আসবেন ৩ অথবা ৪ জুন। ১ জুন কানাডা প্রিমিয়ার লিগে তার ক্লাব ক্যাভালরি এফসির খেলা আছে। ওই ম্যাচের পরই তিনি ঢাকার বিমান ধরার জন্য লাগেজ গোছাবেন।
শামিত সোমের বিষয়টি দেখভাল করছেন বাফুফের অন্যতম সহসভাপতি ফাহাদ করিম। মঙ্গলবার তিনি জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘শামিতের এয়ার টিকিট এখনো কনফার্ম করা হয়নি। বাংলাদেশ সময় ১ জুন তার লিগের ম্যাচ আছে। শমিত ৩ বা ৪ জুন ঢাকায় পৌঁছাবেন।’
সবকিছু ঠিক থাকলে ফুটবলামোদীদের হামজা-শামিত জুটি দেখার অপেক্ষা ফুরাবে ১০ জুন। এমন একটি ম্যাচে বাড়তি কিছু আয়োজন না করলে হয়? তাই তো বাফুফে সিঙ্গাপুরের ম্যাচের দিন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করতে চায়, যাতে ওই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে আসা দর্শকরা আরো কিছু বিনোদন উপভোগ করতে পারেন।
কি থাকছে ওই ম্যাচে? বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমরা একটা পরিকল্পনা তৈরি করছি। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আরো কিছু আয়োজন থাকবে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে তো আমরা বাড়তি কিছু দিতে পারবো না। ম্যাচের আগে ও পরে দর্শকরা যেন আনন্দ পান সে ব্যবস্থা থাকবে। মনে রাখার মতো কিছু একটা করার চেষ্টা চলছে।’
এএফসির ম্যাচের আগে পরে চাইলেই কি বাফুফে কিছু করতে পারবে? ম্যাচ কমিশনার বাগড়া বাঁধাতে পারেন। তাই তো বাফুফে আগেই সেই ঝুটঝামেলার অবসান করতে চায়। ‘আমরা ম্যাচের আগে ও পরে কি কি আয়োজন করতে চাই তার পুরো পরিকল্পনা এক সপ্তাহের মধ্যেই এএফসিকে পাঠাবো। তারা অনুমতি দিলেই সামনে এগুবো। বুঝেনই তো, ম্যাচ কমিশনার না চাইলে কিছুই করা যাবে না। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এএফসি অনুমতি দেবে।’
এএফসির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে ২২ মে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবে। ওই দিনই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নতুনভাবে সেজে ওঠা স্টেডিয়াম বাফুফেকে বুঝিয়ে দেবে। এই ম্যাচের টিকিটের মূল্য কি হবে তা কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের ও টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন।
=====০০=====