রাশিয়ার ‘যুদ্ধকালীন সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা’ কিইভে নারী নিহত, অন্তত ৩ জন আহত

রাশিয়ার ‘যুদ্ধকালীন সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা’ কিইভে নারী নিহত, অন্তত ৩ জন আহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। বিনা
চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষে রাশিয়া এই যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেইন কর্তৃপক্ষ। রোববার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত কিইভ অঞ্চলসহ পূর্বাঞ্চলের দিনিপ্রোপেত্রভস্ক ও দোনেৎস্কে মস্কো মোট ২৭৩টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এতে কিইভ অঞ্চলে ২৮ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধে অংশগ্রহণ শুরু হওয়ার পর এটি রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা, যা গত কয়েকদিনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনার পর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী তথ্য অনুযায়ী, হামলা চলাকালীন আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ৮৮টি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ১২৮টি নকল ড্রোনও ছিল, যা আঘাত ছাড়াই ধ্বংস হয়েছে।

কিইভ অঞ্চলের গভর্নর মাইকোলা কালাশনিক টেলিগ্রামে জানান, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ওবুখিভ জেলায় এক নারী নিহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছে এক চার বছর বয়সী শিশু।” হামলার সময় সতর্কবার্তা ও সাইরেন বেজে ওঠে প্রায় ৯ ঘণ্টা।

ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনার পরও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে প্রথমে রাশিয়ার দাবিকৃত চার অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। শান্তি আলোচনা কেবল এক হাজার যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মতি প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘ইচ্ছাকৃত’ আখ্যায়িত করে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়া বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনায় লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ করেছে।

এই সংঘাতের মধ্যে হাজার হাজার বেসামরিক নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই ইউক্রেনীয় নাগরিক। পরিস্থিতি ক্রমেই মানবিক সংকটে রূপ নিচ্ছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তির জন্য চাপ বাড়িয়ে চলেছে।