যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নেতানিয়াহু, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও গাজা ছাড়ার শর্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বিনা
গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে সম্মতি জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের প্রতি কয়েকটি কঠোর শর্ত দিয়েছেন— এর মধ্যে রয়েছে গাজা থেকে হামাসের পুরোপুরি নির্বাসন ও উপত্যকার সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফের উদ্যোগে প্রস্তাবিত ৪৫ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিংবা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির যে কোনো একটি চুক্তিতে নেতানিয়াহু রাজি আছেন।
উইটকোফের প্রস্তাব অনুযায়ী, ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে, আর ইসরায়েল মুক্তি দেবে নির্ধারিত সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে। এই সময়ের মধ্যেই একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।
তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুর শর্ত হলো— হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে যেতে হবে এবং পুরো গাজা উপত্যকাকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শেষ করতে হলে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে গাজা আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আলোচনাকারী প্রতিনিধি দল কাতারের রাজধানী দোহায় চুক্তির সম্ভাব্য প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছে— তা হোক উইটকোফের অস্থায়ী প্রস্তাব কিংবা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কাঠামো।”
তবে ইসরায়েলের এমন প্রস্তাবে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি হামাস। এর আগে সংগঠনটি জানিয়ে এসেছে, যতদিন ইসরায়েল গাজা ও ফিলিস্তিনের ওপর দখলদারি চালাবে, ততদিন তারা তাদের প্রতিরোধ আন্দোলন ও অস্ত্র ত্যাগ করবে না।
এদিকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নেতানিয়াহুর অবস্থান পরিবর্তন আন্তর্জাতিক পরিসরে কূটনৈতিক তৎপরতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দৃষ্টি হামাসের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।