ইসরায়েলকে ঠেকাতে ব্যবস্থা নিবে আরব-মুসলিম নেতারা

ইসরায়েলকে ঠেকাতে ব্যবস্থা নিবে আরব-মুসলিম নেতারা

বিশ্ব ডেস্ক 

ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আক্রমণ ঠেকাতে  ৫৭ টি আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা সম্ভাব্য আইনি ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চান। দোহায় হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আক্রমণের পর কাতারের রাজধানীতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। 

এছাড়া ছয় দেশের গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলও তাদের শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি একটা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবস্থা চালু করবে।

তারা যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছে, তারা যেন ইসরায়েলকে সংযত করে। গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জাসেম মোহামেদ আল-বুদাইয়ি বলেছেন, ইসরায়েলকে সংযত করার ক্ষমতা ও প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের আছে। তারা যেন সেটা প্রয়োগ করে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলের পর কাতার সফরে গেছেন। তিনি সেখানে কাতারের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেবেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমি মনে করি না দোহায় যে বিমান হামলা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। মার্কো রুবিওর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ওই আক্রমণের উদ্দেশ্য ছিল একটা বার্তা দেওয়া, সেটা হলো, যেখানেই সন্ত্রাসবাদীরা যাক না কেন, আমরা ঠিক খুঁজে বের করব।

দোহায় ইসরায়েলের আক্রমণে কেউ মারা গেছে এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হামাস দাবি করেছে, তাদের যে নেতাদের ইসরায়েল টার্গেট করেছিল, তারা বেঁচে আছেন।

নেতানিয়াহুর বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদীদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র তো আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে গিয়ে হত্যা করেছিল।

নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশকে একঘরে হওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে। এরকম ঘটনা ঘটলে এর জন্য ইউরোপের মুসলিম নেতারাই দায়ী থাকবেন।

উল্লেখ্য, হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল সহ বেশ কিছু দেশ।

সূত্র: ডয়চে ভেলে