নেস্ট: আধুনিক ও সাশ্রয়ী আবাসনের প্রতিশ্রুতি

May 7, 2025 - 08:34
 0  0
নেস্ট: আধুনিক ও সাশ্রয়ী আবাসনের প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক। বিনা

আধুনিক শহরজীবনের অন্যতম প্রধান চাহিদা হলো একটি নিরাপদ, পরিকল্পিত ও সাশ্রয়ী আবাসন। অথচ ঢাকার মতো ব্যয়বহুল নগরে মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য সেই চাহিদা পূরণ অনেকাংশেই রয়ে গেছে অধরা। ঠিক এই জায়গা থেকেই যাত্রা শুরু করেছে এডিসন রিয়েল এস্টেটের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘নেস্ট’—যার মূল লক্ষ্য হলো আধুনিকতা ও গুণগত মান বজায় রেখে সকলের নাগালে আবাসন সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।

নেস্টের স্বপ্নযাত্রা: মধ্যবিত্তের ঘরের ঠিকানা
দেশের রিয়েল এস্টেট খাতে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমানের আবাসন নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এডিসন রিয়েল এস্টেট। এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদের উদ্যোগেই গড়ে ওঠে ‘নেস্ট’। উদ্দেশ্য একটাই—মধ্যবিত্তের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। ঢাকায় একটি নিজের ফ্ল্যাট কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা যেন আর কল্পনাতীত কিছু না হয়, সে জন্যই নেস্টের যাত্রা।

নেস্ট শুধু একটি রিয়েল এস্টেট ব্র্যান্ড নয়; এটি একটি বিশ্বাস, একটি আশ্বাস—সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক ও টেকসই বসবাসের এক নতুন দিগন্ত।

মান ও নকশার ব্যতিক্রমী সমন্বয়
নেস্টের সবচেয়ে বড় অঙ্গীকার হলো—সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে কোনোভাবেই গুণগত মান বা আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে আপস না করা। স্মার্ট স্পেস প্ল্যানিং, পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা, প্রাকৃতিক উপযোগী নকশা—এই সবই তাদের প্রতিটি প্রকল্পে প্রতিফলিত।

একটি প্রচলিত ভুল ধারণা হলো, কম বাজেটের ফ্ল্যাট মানেই নিম্নমানের নির্মাণ। নেস্ট এই ধারনাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। তারা দেখিয়েছে, পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় সাশ্রয়ী বাজেটেও তৈরি করা যায় উন্নতমানের আবাসন।

নেস্টের আলোচিত প্রকল্পসমূহ
নেস্ট ইতোমধ্যে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একাধিক সফল প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। তাদের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে

ফ্লোরেন্স: ৫ কাঠার উপর ৯ তলা ভবন, মোট ৯টি ইউনিট, প্রতিটি ১,৬৩৬ থেকে ১,৭০২ বর্গফুট।

অরেলিয়া: ৩ কাঠার উপর ৬ তলা ভবন, ৬টি ইউনিট, আয়তন ১,৪৮৭–১,৬৯৮ বর্গফুট। হস্তান্তরের সময়সীমা: এপ্রিল ২০২৬।

কায়রো: ৪ কাঠার ওপর ৮টি অ্যাপার্টমেন্ট, প্রতিটি ১,৫২০–১,৬৫৩ বর্গফুট, আধুনিক শহুরে জীবনযাপনের উপযোগী।

অরোরা: নেস্টের প্রথম প্রকল্প, ৫ কাঠার ওপর নির্মিত। হস্তান্তরের পরিকল্পনা: জুন ২০২৫।

এই প্রকল্পগুলোতে গ্রাহকদের আগ্রহ প্রমাণ করে যে মধ্যবিত্তের আবাসনচাহিদার সঙ্গে সঠিকভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছে নেস্ট।

বিশেষত্ব যা আলাদা করে নেস্টকে
স্বচ্ছতা: প্রতিটি প্রকল্পে আয়তন, নকশা, নির্মাণ উপকরণসহ সবকিছুতেই নেস্ট পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখে।

নিজস্ব ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন টিম: অভিজ্ঞ স্থপতি ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত দল প্রকল্পের প্রতিটি ধাপ নিরীক্ষণ করে, যার ফলে গুণগত মানের কোনো ঘাটতি থাকে না।

সাশ্রয়ী গুণগত নির্মাণ: নিজস্ব সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে নির্মাণসামগ্রীর খরচ নিয়ন্ত্রণ করে তা সরাসরি গ্রাহকের লাভে পরিণত করে।

পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা: প্রতিটি ফ্ল্যাটে পর্যাপ্ত আলো, বাতাস চলাচল ও সবুজায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ঢাকাকে ছড়িয়ে পড়ার অঙ্গীকার
নেস্ট বসুন্ধরায় সফলতার পর এখন ঢাকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলেও তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে কনডো-স্টাইলের আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, ও টেকসই নির্মাণের নতুন ধারা যুক্ত করে দেশের আবাসনখাতে নতুন মানদণ্ড তৈরি করতে চায় নেস্ট।

তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো—বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট বাজারে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা, যা সাশ্রয়ী মূল্য ও উচ্চমানের মধ্যে একটি আদর্শ ভারসাম্য তৈরি করবে।

শেষ কথা:
নেস্ট শুধু মধ্যবিত্তের জন্য আবাসন তৈরি করছে না—তারা গড়ে তুলছে একেকটি জীবনের স্বপ্ন, একটি স্থায়ী ঠিকানা। স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এ প্রতিষ্ঠানটি সত্যিকার অর্থেই দেশের আবাসনখাতে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow